Tuesday, March 18, 2025

বদির সঙ্গে বিরোধে ক্রসফায়ারে খুন কাউন্সিলর একরাম। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24

বদির সঙ্গে বিরোধে ক্রসফায়ারে খুন কাউন্সিলর একরাম:

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৯: ৪৮

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক। টানা ১৩ বছর ছিলেন টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। ওই এলাকায় আওয়ামী রাজনীতিতে ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। এ জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। রোষানলে পড়েন ইয়াবা ব্যবসার জন্য সারাদেশে সমালোচিত তৎকালীন এমপি আব্দুর রহমান বদি। তিনি একরামকে পথের কাঁটা ভাবতে শুরু করেন। উভয়ের মধ্যে দেখা দেয় বিরোধ। এর জেরেই একরামকে ক্রসফায়ারে খুন করা হয়।

ঘটনার ছয় বছর পর আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাদক ব্যবসা নয়, আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির সঙ্গে বিরোধের জেরেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় একরামকে। বদির খুঁটির জোর ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

র‌্যাবের হাতে খুন হওয়ার সময় কাউন্সিলর একরামের আর্তনাদ সন্তানের ফোনে হওয়া রেকর্ডের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে। সে ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা দেশ। অডিওতে শোনা যায়, ‘আব্বু তুমি কখন আসবা? এই তো মা চলে আসব! তুমি ঘুমাও! তোমার আসতে দেরি হবে যে? না, দেরি হবে না। চলে আসব, ইনশাআল্লাহ! আব্বু, তুমি কান্না করতেছ যে? না, মা, কান্না করতেছি না।’

এরপর কান্নার শব্দ। তারপর গুলির আওয়াজ ও আর্তনাদ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বাঁশি আর কয়েকজনের হট্টগোলের মধ্য দিয়ে খুন করা হয় কাউন্সিলর একরামকে।

র‌্যাব ও পুলিশের কথিত ক্রসফায়ারের সাজানো নাটক সম্পর্কে আগে থেকেই সাধারণ মানুষের ধারণা থাকলেও টেকনাফের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা একরাম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সামনে আসে ক্রসফায়ারের নামে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ভয়ংকর এক ছবি।

ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় হয় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। কারণ র‌্যাবের তৎকালীন ডিজি বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ অভিযানের ক্রসফায়ারে মানুষ খুনে মেতে উঠেছিল র‌্যাব। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার ক্রসফায়ারের নামে মানুষ খুন বন্ধ করার অনুরোধ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি বেনজীরের বাহিনী। তবে কাউন্সিলর একরাম হত্যাকাণ্ডের পর এ ঘটনাকে ভিত্তি করে ছয় শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বাহিনী হিসেবে র‌্যাবের ওপর জারি হয় নিষেধাজ্ঞা।

সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে তদন্তে নামে। তদন্তসংশ্লিষ্ট দুইজন কর্মকর্তা আমার দেশকে জানান, কথিত ক্রসফায়ারে নিহত একরাম এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। মৃত্যুর আগের বছর পর্যন্ত টানা ১৩ বছর টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। বদির প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। আর এই কারণেই ভবিষ্যতের জন্য একরামকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করতে শুরু করেন বদি। এদিকে বদির মূল মদতদাতা ছিলেন কাদের। ক্ষমতায় থাকতে দুই মাসে একবার বিভিন্ন প্রোগ্রামের অজুহাতে কক্সবাজারে যেতেন তিনি। অনির্ধারিত সফরে চলে যেতেন টেকনাফেও। উঠতেন বদির ডেরায়। কক্সবাজার সফরের সময় সড়ক পথকেই বেছে নিতেন তিনি। যে কটি গাড়ি নিয়ে তিনি কক্সবাজারে যেতেন, ফেরার সময় তার বহরে আরো চার-পাঁচটি গাড়ি যুক্ত হতো। এসব গাড়িতে বদির ইয়াবার চালান নিরাপদে ঢাকায় আনা হতো।

মাদকের মহাজন হিসেবে সারাদেশে সমালোচিত বদি। বিতর্ক এড়াতে বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজতে পারে কেন্দ্র। এমন শঙ্কা থেকে কাউন্সিলর একরামকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করেন বদি। তাই পথের কাঁটা একরামকে সরাতে র‌্যাবের অপারেশনকে বেছে নেওয়া হয় সুযোগ হিসেবে। ‘মাদক সম্রাট’ তকমা দিয়ে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় তাকে। কিন্তু সন্তানের ফোনে চাঞ্চল্যকর সে হত্যাকাণ্ডের অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি একরামের স্ত্রী আয়শা বেগম ও তার দুই মেয়ে তাহিয়া হক ও নাহিয়ান হকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। আয়শা বেগমের অভিযোগ, শুধু তার স্বামীকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি আওয়ামী লীগ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত নজরদারির নামে মানসিক নির্যাতনে বিপর্যস্ত করে তোলা হয় পুরো পরিবারকে। দলবেঁধে বাসায় এসে একাধিকবার হুমকি দিয়ে যায় র‌্যাব ও পুলিশ পরিচয় দানকারী সাদা পোশাকের একাধিক ব্যক্তি। ডাকযোগে কাফনের কাপড় পাঠানোসহ দুই মেয়ের ক্ষতি করার হুমকিও দেয় তারা।

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আয়শা। তিনি জানান, কিন্তু দুইজনই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে চুপ থাকার পরামর্শ দেন। তখনই তিনি বুঝে ফেলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারণেই নয় রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছেন তার স্বামী।

আলাপকালে তারা জানান, কাউন্সিলরের পাশাপাশি বাজার কমিটির সভাপতিও ছিলেন একরাম। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ছিল অন্য যে কোনো আওয়ামী লীগ নেতার চেয়ে বেশি। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় স্থানীয় মাদক সম্রাট বদির সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয় একরামের।

একরামের স্ত্রী আয়শা জানান, শুধু র‌্যাব নয় ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশ মিলে তিন-চার মাস আগে থেকেই ফাঁদ পাতে একরামকে হত্যার জন্য। এরই অংশ হিসেবে ডিজিএফআই টেকনাফ ইউনিটের তৎকালীন প্রধান স্কোয়াড্রন লিডার নাজমুস সাকিব একরামের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে। সাকিবই র‌্যাব কক্সবাজারের তৎকালীন কমান্ডার মেজর রুহুল আমিনকে একরামের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। রুহুল আমিন টেকনাফে জমি কিনবেনÑ এমন কথা বলে ফাঁদ পাতেন তারা। কিন্তু একরাম তাদের সাফ জানিয়ে দেন তিনি জমির ব্যবসা বা দালালি করেন না। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর হওয়ার কারণে এলাকায় পরিচিতির সূত্র ধরে রুহুল আমিনকে জমি কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু একরাম তাদের ফাঁদ হয়তো বুঝে ফেলেন। যদিও বিষয়টি তার পরিবারের অন্যদের কাছে খুলে বলেননি কখনো। কিন্তু মৃত্যুর কিছু দিন আগে থেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা সাকিব ও মেজর রুহুল আমিনকে এড়িয়ে চলতেন তিনি।

আলাপকালে জানা যায়, ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৬ মে রোজার দিন হওয়ায় ভোরে সাহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন একরাম। সকাল ৮টায় সাকিবের কল আসে। একরাম ঘুমিয়ে থাকায় কলটি রিসিভ করেন তার স্ত্রী। এ সময় একরামকে ডেকে দিতে বলেন সাকিব। একরামকে ডেকে দিলে তিনি বারবারই ওইদিন দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর সারাদিনে ৮ থেকে ১০ বার ফোন করেন সাকিব। ওইদিন আর বাসা থেকে বের হননি একরাম। রাতে তারাবির নামাজের পর ফের কল করেন সাকিব। এ সময় একরাম তাকে বলেন, সকালে মেয়েকে কোচিংয়ে দিয়ে ডিজিএফআই অফিসে গিয়ে দেখা করে আসবেন। তখন সাকিব তাকে জানান, র‌্যাবের মেজর কক্সবাজার থেকে চলে আসছেন আর আপনি টেকনাফ থেকে নাইঠং আসতে পারবেন না? এরপর একরাম বাসা থেকে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বড় মেয়ে তাহিয়াকে ফোন করে বলেন র‌্যাবের সঙ্গে একটু কাজে যাচ্ছেন। ফিরতে রাত হবে। একরামের সারাদিনের চালচলনে তার পরিবার বুঝেছিল তিনি ভয়ে আছেন। আর এই কারণেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

আলাপকালে আরো জানা যায়, ওই রাতের সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় ফোন করা হয় একরামের মোবাইলে। একবার তিনি তাহিয়ার ফোনে কল করে বলেন, আমি যাদের সঙ্গে এসেছি তাদের সঙ্গে হ্নীলা চলে যাচ্ছি, এখানে ইউএনও সাহেবও আছেন। তোমার আম্মুকে এই কথা জানিয়ে দিও। একই কথা চার-পাঁচবার বলেন একরাম। তাহিয়া যখন তার বাবার সঙ্গে কথা বলছিলেন, পাশে বসে শুনছিলেন আয়শা বেগম। একপর্যায়ে তাহিয়া তার বাবাকে প্রশ্ন করেন, তিনি কান্না করছেন কি না, মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে আঁতকে ওঠেন আয়শা। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের হাত থেকে ফোনটি নিয়ে নিজে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে ওপাশ থেকে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপর বারবার কল দিতে থাকেন একরামের মোবাইলে। কয়েকবার কল দেওয়ার পর তিনি রিসিভ করেন। কিন্তু কথা বলতে পারেননি। গুলির শব্দ আর আর্তনাদই শুনতে পান তিনি।

এরপর বাসা থেকে বের হয়ে ডিজিএফআই অফিসে যান আয়শা। রাত তখন ১২টার কাছাকাছি। কিন্তু সিকিউরিটি গার্ড দরজা খোলেনি। বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেন সেখানে। এ সময় এনএসআই কর্মকর্তা রাজু একটি মোটরবাইকে তড়িঘড়ি করে ডিজিএফআই অফিসে ঢোকেন। তিন-চার মিনিটের মধ্যেই তিনি আবার বেরিয়ে যান। এ সময় রাজুর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি কথা বলেননি। সেখান থেকে আয়শা যান টেকনাফ থানায়। কিন্তু থানার ওসি রণজিৎ বড়ুয়া ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। ওসি তাকে জানান, মেরিন ড্রাইভে র‌্যাব অভিযান চালাচ্ছে থানার সব পুলিশ সেখানে গেছে। এরপর তিনি বাসায় চলে আসেন। তখন তার এক প্রতিবেশী জানান, মেরিন ড্রাইভের আগে একরামের মোটরবাইক একজন র‌্যাব সদস্যকে চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে লোকমুখে জানতে পারেন একরামকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে র‌্যাব। এই খবর শুনে দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বাজারের হারুন ভাতঘরে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের ভাত খেতে দেখেন তিনি।

আয়শা জানান, এ সময় তার স্বামীকে গুলি করার কারণ জানতে চান তিনি। পুলিশ সদস্যরা হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিলভার রঙের মাইক্রো দেখিয়ে দেন। যেখানে ডিজিএফআই কর্মকর্তা সাকিব ও র‌্যাবের রুহুল আমিন বসেছিলেন। তাদের কাছেও একই প্রশ্ন করেন তিনি। প্রথমে তারা জানান, উপরের নির্দেশে একরামকে গুলি করা হয়েছে। এককথায় দুই কথায় তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তার। এ সময় আশপাশের লোকজনও ভিড় করে সেখানে। তখন র‌্যাবের মেজর তাকে ওই মুহূর্তে সেখান থেকে চলে না গেলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে সরিয়ে নিয়ে আসে।

একরামের বড় মেয়ে তাহিয়া জানান, তার বাবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনে রক্ত জমাট বাঁধার চিহ্ন ছিল। অথচ পোস্টমর্টেম রিপোর্টে শুধু ‘গান শট’ লেখা আছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে দফায় দফায় আদালত ও থানার বারান্দায় ঘুরেও মামলা রেকর্ড করাতে পারেননি। এমনকি কোনো আইনজীবীও তাদের পক্ষে দাঁড়ায়নি র‌্যাবের হুমকির কারণে। অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় রেকর্ড হওয়া ওই ফোনের খোঁজে একাধিকবার র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা তাদের বাড়িতে এসেছে। কিন্তু ফোনটি এখনো লুকিয়ে রেখেছেন তারা। ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে বিচার চেয়েও পাননি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিচার চান তারা।

ডিজিএফআইয়ের স্কোয়াড্রন লিডার নাজমুস সাকিব ও র‌্যাবের কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। স্ব স্ব অফিসে যোগাযোগ করেও তাদের ফোন নম্বর কিংবা বর্তমান কর্মস্থল সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি গ্রেপ্তার ও ওবায়দুল কাদের পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে টেকনাফ উপজেলার তৎকালীন ইউএনও রবিউল হাসান জানান, মৃত্যুর আগে কাউন্সিলর একরামুল হক তার নাম কেন বলেছিলেন তা তিনি জানেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অভিযানে কখনোই তিনি উপস্থিত থাকেননি। একরামকে যেদিন গুলি করে হত্যা করা হয় সেদিনের অভিযান সম্পর্কেও আগে থেকে কিছুই জানতেন না।

সূত্র: আমার দেশ 

No comments:

Post a Comment

সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদের লুটপাটতন্ত্র। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24 সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদের লুটপাটতন্ত্র:  প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২: ০৮ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তরগুলো...