বিডিসি ক্রাইম নিউজ২৪
রাষ্ট্র সংস্কার ও বিনির্মাণে বিডিসি এর ৫১ দফা দাবীর বাস্তবায়ন চাই
Bangladesh Development Committee (BDC) হচ্ছে স্বচ্ছ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে স্বাধীনতাকামী একটি সংগঠন। উক্ত সংগঠনটি গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে LinkedIn এ একটি Group খোলার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর থেকে উক্ত Group এ আওয়ামী দুঃশাসনামলের ঘটে যাওয়া অপহরন, গুম, খুন, চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ সকল অপকর্মের ভিডিও ও তথ্য চিত্র প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে আসছে।
বিডিসির এর অন্যতম দাবী হচ্ছে, বিগত আওয়ামী দুঃশাসনামলে বিএনপি জোট সমর্থিত সামরিক বাহিনী, আধা সমারিক বাহিনী ও বেসামরিক ডিপার্টমেন্ট থেকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যূত চাকরিজীবিদের পূনর্বহাল করা। ইতোমধ্যে চাকরিতে পূনর্বহালকরণ প্রসঙ্গে অনেকে প্রধান উপদেষ্টর কার্যালয়ে আবেদন করেছে এবং প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে অনেকের মামলা চলমান আছে।
বিডিসির আহবায়ক মোঃ ইজাবুল আলম বলেন, আওয়ামী
কর্মকর্তাগণ মিথ্যে অজুহাতে কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারন করলে তারা এর প্রতিকার
পেতে প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে মামলা করেন কিন্তু ঐসব প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে পূর্ব থেকেই
আওয়ামী বিচারক পদায়ন করে রাখায় তারা শুনানী শেষে মামলার গ্রাউন্ড থাকা সত্বেও মামলাগুলো
খারিজ করে দিতেন। দুঃখের বিষয় হলো, এখনো ঐসব বিচারক স্ব স্ব পদে বহাল আছেন। যার ফলে
সুবিচার পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, আমাদের দাবী হচ্ছে, সকল বিচারালয় থেকে অতিসত্বর আওয়ামী বিচারকদের অপসারণ করে সৎ ও নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ বা পদায়ন করতে হবে। সেই সাথে সম্প্রতি আওয়ামী ওসি, এসপি, ডিসিসহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে পদায়নকৃত অফিসারদের বাতিল করতে হবে।
বিডিসি এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও দাবী
সমূহ নিম্নরূপ
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সমূহ
(১) রাষ্ট্রীয় জান মাল সুরক্ষিত রাখতে নিরাপত্তামূলক
ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারকে সহযোগিতা করা।
(২) ঘুষ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ
গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করা।
(৩) রাষ্ট্রীয় বিনির্মাণে সকল কাজে সরকারের
সহযোগি হওয়া।
(৪) সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সরকারকে
সহযোগিতা করা।
(৫) যিনা/ব্যভিচারসহ সকল প্রকার অশ্লীলতা বন্ধে
কার্যকরী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতা করা।
(৬) নারীর সম্ভ্রম রক্ষামূলক সমাজ ব্যবস্থা
গড়ে তুলতে সহযোগিতা করা।
(৭) বেকারত্ব দূরীকরণে সকল ধরণের ব্যবস্থা
গ্রহণে সহযোগিতা করা।
(৮) বাংলাদেশর সাথে বৈদেশিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
রাষ্ট্র সংস্কার ও বিনির্মাণে বিডিসি এর ৫১ দফা দাবী সমূহ
(১) আওয়ামী সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সকল প্রকার
সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে হবে এবং প্রদেয় সুযোগ সুবিধা ও ভাতার সমপরিমান অর্থ
ফেরত নিতে হবে।
(২) সরকারি বেসরকারি সকল অফিস থেকে আওয়ামী
চাকরিজীবীদের অপসারণ করতে হবে। সম্প্রতি ওসি, এসপি, ডিসি ও বিচারক তথা বাংলাদেশের সকল
ডিপার্টমেন্টে পদায়নকৃত আওয়ামী অফিসারদের পুনর্বাসন বাতিল করতে হবে।
(৩) আওয়ামী সকল প্রশাসনিক চাকরিজীবী যারা জুলাই
বিপ্লবে ছাত্রজনতার উপর গুলিবর্ষণসহ অন্যায় অত্যাচার করেছে তাদেরকে চাকরিচ্যুতসহ আটক
করে দৃষ্টান্তমূলকলক শাস্তি দিতে হবে।
(৪) ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত
সকল খুনের বিচার করতে হবে।
(৫) বিডিআর হত্যা ও শাপলা চত্বরের উল্লেখযোগ্যভাবে
বিচার করতে হবে।
(৬) আওয়ামী দু:শাসন আমল তথা ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪
সালের প্রহসনমূলক নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।
(৭) আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগসহ এর সকল অঙ্গসংগঠনকে
নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। নিষিদ্ধ না করলে কোনো এক সময় এরা আবার ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশকে
ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাবে।
(৮) আওয়ামী সকল কথিত এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান,
মেম্বার, কাউন্সিলর, মেয়রসহ সকল নেতাদের আটক করে এদের অবৈধ সমস্ত সম্পত্তি ক্রোক দিতে
হবে।
(৯) আওয়ামী সকল হুজুর যারা কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা
করতো এবং ইসলামকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ কিংবা কটূক্তি করতো তাদেরকে গ্রেফতার করে কঠিন
শাস্তি দিতে হবে এবং ইসলাম অবমাননার দায়ে যুগোপযুগি কারাদন্ডের বিধান চালু করতে হবে।
(১০) আওয়ামী সকল প্রকার প্রতিষ্ঠান যেগুলো
অবৈধভাবে গড়া এবং ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া সেগুলো সরকারিভাবে দখল করতে হবে।
(১১) সকল ডিপার্টমেন্ট থেকে আওয়ামী চাকরিজীবীদের
চাকরিচ্যুত করে নতুন প্রজন্মের বেকারদের চাকরি দেয়ার দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে।
(১২) জুলাই বিপ্লবে নিহত পরিবারের সকল খরচ
আজীবন রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে এবং ঐ পরিবারের বেকার সদস্যদের চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা
করতে হবে।
(১৩) আওয়ামী সন্ত্রাসী পুলিশ যারা সরাসরি জুলাই
বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা থেকে
বঞ্চিত করতে হবে।
(১৪) আওয়ামী পরিবারের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক
স্থাপন করা ও ব্যাঙ্কিং লেনদেন করাসহ সামাজিক সকল অনুষ্ঠানগুলোতে বয়কট করতে হবে।
(১৫) চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী,
অন্যায় অত্যাচারী, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোর, ডাকাত জেল খাটার পর বাংলাদেশে থাকতে চাইলে
বিশেষ ট্যাক্স দিয়ে থাকতে হবে।
(১৬) প্রতিটি ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লায় আওয়ামী
সন্ত্রাসী প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করতে
হবে।
(১৭) যেসব সেনা, পুলিশ, ইএই সহ আইন শৃঙ্খলা
বাহিনীর অন্যান্য সদস্য অতি উৎসাহী হয়ে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের উপর গুলি চালিয়েছে তাদের
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ এনে সরাসরি ফায়ারিং করে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করতে
হবে।
(১৮) শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তথা শেখ পরিবারকে
নিরাপত্তা প্রদানকারী SSFসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদেরকে আটক করে শাস্তির আওতায় আনতে
হবে।
(১৯) আওয়ামী টিভি চ্যানেল ও রেডিও সহ সকল পত্রিকা
বা সংবাদ মাধ্যমগুলো বন্ধ করতে হবে।
(২০) সকল শ্রেণির পাঠ্য পুস্তক থেকে আওয়ামী
ইতিহাস মুছে ফেলতে হবে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কারণ সংবলিত লেখা রাষ্ট্র বিজ্ঞান
ও ইতিহাস বইয়ে সংযুক্ত করা যেতে পারে।
২১) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী শিক্ষকদের
অপসারণ করতে হবে।
(২২) শেখ পরিবারের নামে যতো প্রতিষ্ঠান আছে
সেগুলোর নামকরণ বাতিল করে স্থানীয় নামে নামকরণ করতে হবে।
(২৩) আওয়ামী দু:শাসনামলে যাদেরকে মিথ্যে অজুহাতে
চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
(২৪) বিএনপি জোট নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে যতো
মামলা আছে সবগুলো মামলা খারিজ করতে হবে।
(২৫) কথিত গণজাগরণ মঞ্চের সাথে জড়িত আওয়ামী
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও সমর্থকদের আটক করে কঠিন শাস্তিপ্রদান করতে হবে।
(২৬) বিগত সকল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ জেলা
উপজেলা আওয়ামী নির্বাচন অফিসারদের চাকরিচ্যুতসহ আটক করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।
(২৭) স্কুল কলেজ ছাত্রীদের হিজাব/বোরখা খুলে
ফেলা, টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও লম্বা হাতা কেটে ফেলা ঘটনার সাথে কতিপয় শিক্ষক শিক্ষিকা
চিহ্নিত, এদেরকে চাকরিচ্যুতসহ গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
(২৮) কাগজে নোট থেকে শেখ মুজিবের ছবি অপসারণ
করতে হবে। এজন্যে নতুন নোট চাপিয়ে ছবি সংবলিত নোটগুলো ক্লোজ করতে হবে।
(২৯) আওয়ামী মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে না ওঠা পর্যন্ত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ শাসন করবে।
(৩০) সরকারি চাকরিতে বয়স সীমা ৩৫ বছর এবং পুরোপুরি
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল কিংবা সকল কোটা সীমিতকরণ করতে হবে।
(৩১) আওয়ামী দু:শাসনামলে বিএনপি জোট নেতা কর্মীদের
বিরুদ্ধে অতি উৎসাহী কতিপয় পুলিশ ও দুদক কর্মকর্তা মিথ্যে মামলা দিয়েছে। সেই মিথ্যে
মামলায় আওয়ামী বিচারকগণ ভুয়া রায় দিয়ে অনেককে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, অনেকে কারাভোগ করছে।
মামলার নথি ধরে সেই সকল মামলার বাদী, বিচারক ও মামলার সাক্ষীদের খুঁজে বের করতে হবে
এবং কঠিন শাস্তিপপ্রান করতে হবে।
(৩২) সম্প্রতি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যে কয়জন
ধরা পড়েছে এবং পড়বে তাদেরকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বানানো আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে
স্বল্পদিনের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে যারা প্রকৃত দোষী তাদেরকে দ্রুত ফাঁসিতে
ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।
(৩৩) আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে যেসব বিতর্কিত
আইন তৈরী করা হয়েছিলো সেগুলো বাতিল করতে হবে।
(৩৪) ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার নির্দেশে
আওয়ামী জঙ্গিরা লগি বৈঠা ও অস্ত্রসহ নিরীহ জনতার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অনেককে নিহত ও আহত
করেছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের আটক করে বিচারিক কার্যক্রম শেষে
দোষীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড কার্যকর করতে হবে।
(৩৫) বিদেশে পলাতক আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেশে
ফেরত এনে আইনের মুখোমুখি করতে হবে।
(৩৬) আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিদেশে পাচারকৃত
অর্থ দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৩৭) পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগে সৎ, যোগ্য
ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
(৩৮) বাজার মূল্য স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা
করতে হবে।
(৩৯) যানজট নিরসনে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করতে
হবে।
(৪০) কর্মস্থলে নারী সহকর্মীদের যৌন হেনস্থা
বন্ধে আলাদা আইন তৈরী করতে হবে।
(৪১) শ্রমিকদের বর্তমান বাজার মূল্যে বেতন
নির্ধারণ করতে হবে।
(৪২) ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধে আলাদা কার্যকরী
আইন তৈরী করতে হবে।
(৪৩) রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি জনগণের মান
উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
(৪৪) আয়নাঘর সহ অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের
সহিত জড়িত সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিপ্রদান
করতে হবে।
(৪৫) আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতা
ও পালিয়ে যেতে সহায়তাকারীদের আটক করে শাস্তি দিতে হবে।
(৪৬) সকল প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল থেকে আওয়ামী
বিচারকদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
(৪৭) অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী অফিসারদের পোস্টিং
দেয়া বন্ধ করতে হবে।
(৪৮) সরকারি বেসরকারি প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
একজন করে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কুরআনের হাফেজ নিয়োগ দিতে হবে।
(৪৯) সামরিক, আধা সামরিক ও বেসরকারি সকল প্রশিক্ষণ
কেন্দ্রে প্রশিক্ষণকালীন হাফ প্যান্ট পরিধানের বিধান বাতিল করতে হবে। নারীদের জন্য
নারী প্রশিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
(৫০) সেনা, নৌ, বিমান, কোস্ট গার্ড ও বিজিবি
থেকে কোনো কারণে কেহ চাকরিচুত হলে নিজ বাহিনীতে গঠিত আদালতে বিচার প্রার্থীর পক্ষে
আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে এবং বিচারিক কার্যক্রমকে ভয় ভীতির মধ্যে না রেখে সহজীকরণ
করতে হবে।
(৫১) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে যেকোনো
আদেশদানে দীর্ঘসুত্রিতা না করে সামষ্টিক ওয়ান ক্লিক আদেশদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
মোঃ ইজাবুল আলম
আহ্বায়ক
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কমিটি (বিডিসি)
নতুন বাজার, ভাটারা, ঢাকা
০১৭১৬৫০৮৭০৮
No comments:
Post a Comment