BDC CRIME NEWS24
চাকরির প্রলোভনে বাংলাদেশি নারীদের ভারতে পাচার, বিক্রি হতো পতিতালয়ে:
প্রকাশিত: ০২:৩৩, ১৫ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ থেকে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জামাকাপড় সেলাই, বিউটি পার্লার, ইস্পাত কারখানা ও পরিচারিকার কাজের নামে নারীদের পাচার করা হত ভারতে। সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের জোরপূর্বক দেহব্যবসায় নিযুক্ত করা হত বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদে এমন একটি মানব পাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্তে জানিয়েছে, এই চক্রটি বাংলাদেশ থেকে নারীদের ভারতে পাচারে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকার দালালদের সহায়তা নিত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডির প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হায়দরাবাদ ও সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ মানব পাচারের নেটওয়ার্কের খোঁজ পেয়েছে, যেখানে অবৈধ দেহব্যবসা পরিচালিত হত। তদন্তে উঠে এসেছে, চক্রটি মূলত বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্বারা পরিচালিত হত। তেলেঙ্গানা পুলিশ প্রথমে দু’টি পৃথক এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে, যা পরবর্তীতে অর্থ তছরুপের অভিযোগে ইডি গ্রহণ করে। পরে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এই মামলার তদন্তে যুক্ত হয়।
ইডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনআইএ তদন্তের পর বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা ভুয়া নথিপত্র ব্যবহার করে ভারতে বসবাস করছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু গ্রেফতারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে নারী পাচারের এই চক্র সক্রিয় ছিল।এই মামলার একটিএফআইআরে এনআইএ বিশেষ আদালত ইতিমধ্যে ছয়ন দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, চক্রটির সঙ্গে একাধিক এজেন্ট জড়িত ছিল, যারা আর্থিক লেনদেনের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অনলাইন ওয়ালেট ব্যবহার করত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দালালদের মাথাপিছু ৪-৫ হাজার টাকা দেওয়া হত নারীদের পাচারের বিনিময়ে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কখনও কখনও এই লেনদেন নগদেও সম্পন্ন হত এবং পাচার চক্রটি বাংলাদেশেও টাকা পাঠাত। ইডির দাবি, মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা ‘বিকাশ’-এর মাধ্যমেও অর্থ আদান-প্রদান করা হত।
সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ
No comments:
Post a Comment