Tuesday, November 19, 2024

ইউএনও স.ম আজহারুল ইসলামের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও দোসরদের ভারতে পলায়ন। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24

ইউএনও স.ম আজহারুল ইসলামের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও দোসরদের ভারতে পলায়ন:

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারতে পলায়নের পর তাঁর দলের সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী দোসরদের অনেকেই কুমিল্লার সীমান্তপথে দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় ভারতে ঢুকেছেন। এখনও কুমিল্লার অনেক নেতা যারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে থেকে ভারতে পলায়নের চেষ্টা করছেন।

গত ৫ আগস্টের পর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশিদল, সালদানদী, হরিমঙ্গল, বাঁশতলী, আশাবাড়ি, বাল্লক, নারায়ণপুর ও তেতাভুমি এবং বুড়িচংয়ের চরানল, খারেরা, সংকুচাইল, মাধবপুর, বড়জালা, সদরের নিশ্চিন্তপুর ও গোলাবাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও দলটির নেতারা সহজে ভারতে পাড়ি দিয়েছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কুমিল্লার বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা চিহ্নিত দালালদের যেমন সহায়তা নিয়ে যেমন ভারতে পালিয়েছেন, তেমনি সীমান্ত এলাকার উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা (ইউএনও) আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও তাদের দোসরদের ভারতে পালানোর ব্যাপারে সহযোগিতা দিয়েছেন বলে গুঞ্জন ওঠেছে।

এদিকে কুমিল্লা জেলাজুড়ে গুঞ্জন আছে, ব্রাহ্মণপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা স্থানীয় ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) স.ম আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণপাড়ার ইউএনও স.ম আজহারুল ইসলাম এক বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পর গোটা প্রশাসনকে আওয়ামী লীগের এমপির নির্দেশনায় সাজিয়েছেন। আওয়ামী দোসরদের সাজানো উপজেলা প্রশাসন হওয়ায় সহানুভূতি প্রকাশ করতেই ইউএনও সহ উপজেলা প্রশাসনের অনেকেই নির্বিঘ্নে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও দলটির অন্যান্য নেতাদের দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার সব সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

এসব অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ার ইউএনও স.ম আজহারুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে ৫ আগস্টের আগে পরে আওয়ামী লীগের কোন এমপি বা নেতাদের ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতার বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আর ৪ আগষ্ট রাতের পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এমপি, নেতা কারো সঙ্গেই আমার যোগযোগ নেই, এখন পর্যন্ত কোন যোগাযোগ নেই, হচ্ছেও না। এমনকি যোগাযোগের সম্ভাবনাও নেই। দেশের ওইসময়কার বিরাজমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের লোকজনকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার বিষয়টি তো ভাবাই যায় না, কারণ তখন তো আমি বা আমার বাসার নিরাপত্তা নেই। যেখানে আমরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম, সেখানে আরেকজনকে (আওয়ামী লীগের লোকজন) সহায়তা করার প্রশ্নই ওঠেনা। আর আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময়ে স্থানীয় এমপি বা অন্যান্য পদের যারাই ছিলেন তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা রুলস অব বিজনেসে যেভাবে বলা আছে এর বাইরে কোন ধরণের সম্পর্ক কারো সাথেই নেই। যারাই এবিষয়টিতে আমাকে জড়িয়ে গুঞ্জনের ডালপালা ছড়াচ্ছে আমি মনে করি এটি একদম সঠিক নয়।’

জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে সাবেক এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহার ও তাঁর মেয়ে সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা ছাড়াও কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাবেক এমপি আবু জাহের, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব ওরফে অপি, আদর্শ সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, ভাইস চেয়ারম্যান নিয়াজ আহমেদ পাভেল, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহীদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হাবিবুর আলআমিন সাদী, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী কামাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের বেশ অন্তত তিন ডজন নেতা। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে।

সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব 

No comments:

Post a Comment

ধর্ষণ থামছে না, ফেব্রুয়ারিতে দিনে গড়ে ১২টি মামলা। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24 ধর্ষণ থামছে না, ফেব্রুয়ারিতে দিনে গড়ে ১২টি মামলা: (নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা: ২০২৪: জানুয়ারি–জুলাই ১০,৭০৪টি, ২০২৪: আগস্ট...