Tuesday, January 21, 2025

৪৩তম বিসিএসেই শতাধিক ছাত্রলীগ ক্যাডার নিয়োগ। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24

৪৩তম বিসিএসেই শতাধিক ছাত্রলীগ ক্যাডার নিয়োগ:

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮: ৩২

অনির্বাণ সাহা ছিলেন ক্যাম্পাসের মূর্তিমান আতঙ্ক। ছিলেন সন্ত্রাসের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বুয়েট নজরুল ইসলাম হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর মাধ্যমে পররাষ্ট্র ক্যাডারে সহকারী সচিব হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি যোগদান করেছেন তিনি। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর-১৪০২৬২২১ এবং গেজেটের সিরিয়াল নম্বর-২৩।

মোস্তফা মনোয়ারও ছিলেন ছাত্রলীগের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সহসভাপতি। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই বছর বহিষ্কৃতও ছিলেন। মোস্তফা মনোয়ারও বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারে সহকারী সচিব হিসেবে গত ১৫ জানুয়ারি যোগদান করেছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর হচ্ছে-১৩০১০৬০৩ এবং গেজেটের সিরিয়াল নম্বর-০৪।

অনুপ কুমার বিশ্বাস বুয়েটের এম এ রশীদ হল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। বুয়েটে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতও হয়েছিলেন তিনি। গত ১৫ জানুয়ারি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর-১৪০২৮০৮৭। অনিক ব্যানার্জি। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর-১১১১৭২৫২।

অনুপ কুমার বিশ্বাস, অনির্বাণ সাহা, অনিক ব্যানার্জি কিংবা মোস্তফা মনোয়ারই শুধু নন, তাদের মতো ৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আরও শতাধিক নেতা। এ ঘটনায় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে নির্যাতনের শিকার বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করেছেন বুয়েটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।

৪৩তম বিসিএসে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তুমুল আপত্তি করেছে বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশল পরিষদ নামের একটি সংগঠনও। সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত বলেও মন্তব্য করেছেন। বুয়েটের একজন শিক্ষার্থী আমার দেশকে জানান, ৪৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপনে নিয়োগপ্রাপ্তদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয় উল্লেখ না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার কী ভূমিকা ছিল, তা অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে। বুয়েট থেকে যেসব ছাত্রলীগের নেতা বিভিন্ন ক্যাডারে যোগ দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যে রাতে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই ওই রাতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছিলেন। হত্যাকারী আসামিদের সঙ্গে এদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলেও অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদের দাবি, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী ফ্যাসিবাদের সব দোসরকে অবিলম্বে গেজেট থেকে বাদ দিতে হবে এবং নির্যাতনে জড়িতদের সরকারি চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

যত বিতর্ক ৪৩তম বিসিএস নিয়ে

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার নিযুক্ত পিএসসি ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছিল। সে সময় দুই হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার ও ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারসহ মোট দুই হাজার ৮০৫ জন প্রার্থী নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। শেখ হাসিনার পতন ও পলায়নের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রকাশিত পিএসসি সংশোধিত গেজেটে ৯৯ জনের নিয়োগ স্থগিত করে বাকিদের নিয়োগের সুপারিশ করে। এ গেজেটে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল ছাত্রলীগের এমন অনেক নেতার নাম থাকায় বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। ফলে পিএসসি এ প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে আরও যাচাই-বাছাই করে। পরে ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে। এতে আগের ৯৯ জনসহ মোট ২২২ জনকে নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়।

আমলার তালিকায় ছাত্রলীগের পদধারী সন্ত্রাসীরাও

নতুন তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচন করে আলোচনায় আসা নবমীতা সরকারের নামও রয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপদপ্তর সম্পাদক প্রণয় দেবনাথও রয়েছেন তালিকায়। এ ছাড়াও গেজেটে নাম রয়েছে সিলেট মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শের শাহ। তিনি পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন।

কুয়েট ছাত্রলীগের খান জাহান আলী হল শাখার সহসভাপতি মো. রওশন জামিল। তিনিও পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য মনোনীত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রলীগ সভাপতি আশফাক ফেরদৌস, এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোহানুর রহমান, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এ এস এম নাসিম, ঢাবির জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শোভন কুমার বিশ্বাস, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুজাত হোসেন, ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক কায়সার মাহমুদ, অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন।

বরখাস্তের দাবি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত মোস্তফা মনোয়ার (আকিব), অনির্বাণ সাহা, অনুপ কুমার বিশ্বাস, অনিক ব্যানার্জি, ইরাম তাহমীদসহ নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী ফ্যাসিবাদীদের অবিলম্বে গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ। পাশাপাশি নির্যাতনে জড়িতদের সরকারি চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অযোগ্য ঘোষণার দাবি করে এ পরিষদ।

সরকারের কাছে পেশ করা এক স্মারকলিপিতে প্রকৌশল পরিষদ ৪৩তম বিসিএস গেজেটের বিষয়ে উল্লেখ করেছে, পররাষ্ট্র ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত মোস্তফা মনোয়ার (আকিব) বুয়েট ছাত্রলীগের তৎকালীন কমিটির সোহরাওয়ার্দী হলের সহসভাপতি ছিলেন। অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিবির-ছাত্রদল ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত এবং বুয়েটের মধ্যে ভাঙচুর এর কারণে যাকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ চার টার্মের জন্য অ্যাকাডেমিক বহিষ্কার করেছিল। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের এমন সদস্য গেজেটভুক্ত হওয়ায় আমরা বিস্মিত।

পররাষ্ট্র ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত অনির্বাণ সাহার বিষয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘অনির্বাণ ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের আরেক সন্ত্রাসী সহসভাপতি ও নজরুল ইসলাম হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বুয়েটে অসংখ্য নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ। অনুপ কুমার বিশ্বাসের বিষয়ে ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যোগ দিয়েছে অনুপ।

বুয়েটের রশিদ হলের কুখ্যাত এই অনুপ নগর পরিকল্পনা বিভাগের তৌহিদুল ইসলাম সেতু, সোলাইমান খানসহ অসংখ্য ছাত্র নির্যাতনে অভিযুক্ত হয়ে বুয়েট থেকে বহিষ্কার হয়েও দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে আনেন। ছাত্র নির্যাতন, মাদক ও হিরোইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘অনিক ব্যানার্জি বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদধারী ছিলেন। এই সন্ত্রাসী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আগে নগর পরিকল্পনা বিভাগের মিজবুল বাহার নামে তারই একজন ক্লাসমেটকে তীব্র নির্যাতন করেছে। দাড়ি টুপি ও নামাজ পড়ার কারণে আরেক সহপাঠী আব্দুল আলিমকে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করে সার্বক্ষণিক মানসিক নির্যাতনের মধ্যে রাখত অনিক ব্যানার্জি। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্য সচিব জনাব রাফে সালমান রিফাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তার ওপর তৎকালীন বুয়েট ক্যাম্পাসে অনিক ব্যানার্জি হামলা করেছিলেন।

৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্রলীগের পদধারী শতাধিকে নেতা রয়েছে, যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। পুনরায় তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আক্ষেপ শহীদ আবরার ফাহাদের পরিবারের

গত ৩০ ডিসেম্বর এ তালিকা প্রকাশে বুয়েটে ছাত্রলীগের বর্বর নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ তার ফেসবুকে পেজে লিখেছেনÑ‘প্রথম থেকেই দাবি ছিল প্রশাসনকে ছাত্রলীগ, তথা আওয়ামী লীগ মুক্ত করা হোক। স্বাভাবিকভাবেই তাই ভাবা হয়েছিল ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িতদের হয়তো বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা দেখলাম, ঘটনা হয়েছে উল্টো। পররাষ্ট্র ক্যাডারেই দেখলাম, বুয়েট ছাত্রলীগের দুইজন বহাল তবিয়তে আছে। এমন না যে, নামমাত্র ছাত্রলীগ, একজন তো একটা হলের সহসভাপতি, আরেকজন হলো কুখ্যাত র‌্যাগার।

এরপর বাদ দেওয়াদের বিষয়ে দেখা গেল, যারা কখনো ছাত্রলীগ করেনি, পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না, আবার জুলাই আন্দোলনের পক্ষেও ছিলÑএমন কয়েকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ওনাদের ক্লাসমেটরাই বলছেন যে, এরা কখনো রাজনীতিও করেনি, র‌্যাগিংয়েও জড়িত নয়।

ওনাদের মধ্যেই একজন একটি পোস্ট করেছেন, সেখানে ছাত্রলীগের বট কমেন্ট করছে ওনার জুলাইয়ে দেওয়া লাল ডিপি। কনফিউজড হয়ে গেলাম, আওয়ামী লীগের যারা তাদের বাদ দেওয়ার কথা, নাকি যারা আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছে তাদের বাদ দেওয়ার কথা?’

যা বলছে প্রশাসন

৪৩তম বিবিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ছাত্রলীগের শতাধিক সন্ত্রাসীর নিয়োগের বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিবের বক্তব্যের জন্য সচিবালয়ে তার দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়। তিনি এখন সরকারি সফরে দেশের বাইরে থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে তার মন্তব্য চেয়ে ব্যক্তিগত মুঠোফোনে বার্তা দিলেও তিনি এর জবাব দেননি।

পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের বক্তব্যের জন্য তার অফিসে যোগাযোগ করা হয়। অফিস থেকে চেয়ারম্যানের একান্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে নাসির উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি তার মুঠোফোনে লিখে দিতে বলেন। প্রশ্ন তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে লিখে দিলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

তবে পিএসসির সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া আমার দেশকে বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আগের কমিশন সুপারিশ করেছে। এখানে কারা এবং কীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন, তা আমাদের জানা নেই। তবে নিয়োগের আগে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড (ব্যক্তিগত তথ্য) যাচাই বাচাই করে গেজেট প্রকাশের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।

সূত্র: আমার দেশ 

No comments:

Post a Comment

এনএসআইয়ে ‘র’ নেটওয়ার্ক। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24 এনএসআইয়ে ‘র’ নেটওয়ার্ক: প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ২৭ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের অভ্যন্তরে ২০০৯ ...