BDC CRIME NEWS24
সাধারণ ব্যাংকার থেকে দুর্নীতির বরপুত্র সরাফাত:
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০: ০৬
ভারতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দানব হয়ে উঠতে আর্থিক খাতের যারা সহযোগী ছিলেন তাদেরই একজন এক সময়ের সাধারণ ব্যাংকার গোপালগঞ্জের চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। দশ বছর একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করে সাধারণ জীবন কাটানো সরাফাতের উত্থান হঠাৎ করেই।
দরবেশখ্যাত সালমান এফ রহমানের হাত ধরে উত্থানের শুরুটা হলেও, হাসিনার অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল ছিলেন তার ‘পাতানো’ চাচা এবং হাসিনা নিজে ছিলেন পাতানো ফুফু। চাচা-ফুফুর বদৌলতে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে এই দশ বছরে নাফিজ সরাফাত বনে যান দেশের ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি।
শিল্প উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকারসহ সরাফাতের নামের আগে নানা বিশেষণ বসতে শুরু করে দুর্নীতির টাকার জোরে। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন তিনি। টাকা আর ক্ষমতার বলে দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, লা মেরিডিয়ান ঢাকা, শেরাটন ঢাকা ও ম্যারিয়টসহ একাধিক চেইন হোটেলের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন সরাফাত। রাষ্ট্রায়ত্ত চা-বাগান ন্যাশনাল টি লিমিটেডেরও পরিচালক বনে যান তিনি।
চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তার কাছ থেকে বক্তব্য জানতে পারেনি আমার দেশ। আত্মগোপনে থাকা সরাফাতের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। তবে তার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
কে এই চৌধুরী
দেশের ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত ব্যক্তিদের অন্যতম একজন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ১৯৯৯ সালে বিদেশি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে চাকরিজীবন শুরু হয় তার। পরে এই সুবাদে পরিচয় হয় সালমান এফ রহমানের সঙ্গে। সালমানের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠায় একটি বিদেশি ব্যাংকের চাকরিজীবী হয়েও আরেকটি বেসরকারি ব্যাংক আইএফআইসির স্বতন্ত্র পরিচালক হন তিনি।
এক ব্যাংকে চাকরি আর অন্য ব্যাংকে পরিচালকের মাধ্যমেই আলোচনায় আসেন সরাফাত। ২০০৮ কনজ্যুমার ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে তিনি যোগ দেন আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে। সেখানে থাকা অবস্থায় একটি মিউচুয়াল ফান্ডের লাইসেন্স নেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে। তার কোম্পানির নাম বাংলাদেশ রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।
এর মাধ্যমেই শেয়ারবাজার কারসাজির একজন হোতা বনে যান নাফিজ। পরে ২০১৮ সালে হাসিনার নির্দেশে তাকে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়। আগের ফার্মার্স ব্যাংক নাম বদলে পদ্মা হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীরের দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। কিন্তু নাফিজ পদ্মা ব্যাংকটির দায়িত্ব পেয়ে পুরোটাই গিলে খান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরাফাত অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এপিইউবি) বোর্ড সদস্য, দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার হাউজের (কানাডা) সভাপতি, নিউজ বাংলা২৪-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি।
এ ছাড়া কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাবের সদস্য, ওয়ার্ল্ড চেজ ফেডারেশনের (বাংলাদেশ বিভাগ) সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্য, বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, ইনফরমেশন সিস্টেমস অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের (ইউএসএ) সদস্য।
নাফিজ সরাফাতের দৃশ্যমান সম্পদ কত
নাফিজ সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান। আদালতে জমা দেওয়া দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের নামে রাজধানীর গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। গুলশান-২-এ রয়েছে ২০ তলাবিশিষ্ট একটি বাড়ি। এর বাইরে পূর্বাচলে সাড়ে সাত কাঠার একটি প্লট রয়েছে।
এ ছাড়া গাজীপুর ও বাড্ডায় তার ২৫ কাঠার জমি রয়েছে। নাফিজের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদের নামে রাজধানীতে পাঁচটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা একটি বাড়িও রয়েছে তার। এর বাইরে তার নামে আরো ১৩ কাঠা জমির সন্ধান পেয়েছে দুদক। তাদের ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থাকা সাতটি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, নাফিজ সরাফাত গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সেই অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এ ছাড়া নাফিজ, তার স্ত্রী ও ছেলের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের বাইরেও সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক। সরাফাত ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
কী ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাফিজ সরাফাতের সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ জন্য শিগগিরই একজন রিসিভার বসানো হবে। এ বিষয়ে দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আমার দেশকে বলেন, চলতি সপ্তাহেই রিসিভার বসতে পারে। তিনি জানান, সরাফাতের বিপুল অঙ্কের সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক। ইতোমধ্যে যেসব সম্পদ দুদকের নজরে এসেছে সেগুলো রাষ্ট্রের আওতায় আনা হবে। এসবের আয় জমা হবে সরকারি কোষাগারে।
তিনি আরো বলেন, জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান চলমান। এ অবস্থায় এসব সম্পত্তি যাতে হস্তান্তর, রূপান্তর কিংবা বেহাত না হতে পারে সে জন্য দুদকের সিদ্ধান্তক্রমে নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী ও ছেলের যেসব সম্পত্তির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কিংবা মানি লন্ডারিংয়ের সংশ্লিষ্টতার আভাস পাওয়া গেছে, সেসব সম্পত্তি আদালতের মাধ্যমে দরখাস্ত দিয়ে ক্রোকের ব্যবস্থা করেছে দুদক।
আদালত দুদকের কথা শুনে বিষয়টি মঞ্জুর করেছেন। এসব সম্পত্তি এই মুহূর্তে ক্রোক না করার ফলে বেহাত হয়ে গেলে দুদকের অনুসন্ধানের পর নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী সময়ে তা রাষ্ট্রের পক্ষে বাজেয়াপ্ত করা যাবে না।
গত বছরের ১৬ আগস্ট ব্যাংক দখল ও পুঁজিবাজার থেকে অর্থ লোপাটের মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাছাড়া গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর নাফিজ সরাফাত এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে সম্পদশালী হওয়ার নেপথ্যে
এক সময়ের ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে নাফিজ সরাফাত হয়ে ওঠেন দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম প্রভাবশালী মাফিয়া। বাড়ি গোপালগঞ্জে হওয়ার সুবাদে আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। স্বয়ং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে নাফিজ সরাফাত দিন দিন অত্যন্ত প্রভাবশালী ও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
শেখ হাসিনাকে নাফিজ সরাফাত ফুফু বলে সম্বোধন করতেন। অন্যদিকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে পরিচয় দিতেন নিজের চাচাতো ভাই হিসেবে। এসব ‘পাতানো’ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে নাফিজ সরাফাত যখনই যে কাজে হাত দিয়েছেন, সেখানেই সফল হয়েছেন; গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ।
তার প্রতিষ্ঠান রেইস ২০০৮ সালে যাত্রা শুরুর পর ২০১৩ সালের মধ্যেই ১০টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অধীনে ১৩টি ফান্ড রয়েছে। মূলত এসব মিউচুয়াল ফান্ডকে ব্যক্তিস্বার্থে অর্থ উপার্জনের কাজে লাগিয়েছেন নাফিজ সরাফাত ও হাসান ইমাম।
ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগ করে তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) শেয়ার কিনে ব্যাংকটির পর্ষদের পরিচালক বনে যান এই দুজন। ব্যাংকটির উদ্যোক্তাদের তালিকায় তারা দুজন ছাড়াও নাফিজের স্ত্রী আনজুমান আরা শহীদও ছিলেন।
নাফিজ সরাফাত পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই দেশের আর্থিক খাতে তার বিচরণ বাড়াতে থাকেন। ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে অভিজাত ব্যবসায়ীর তালিকায় নাম লেখান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশকিছু কোম্পানির নিয়ন্ত্রণও নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, ন্যাশনাল টি কোম্পানি অন্যতম।
তিনি ইউনিক হোটেলের উদ্যোক্তা নূর আলীর প্রতিষ্ঠানের মনোনীত পরিচালক হিসেবে কোম্পানিটির পর্ষদে পরিচালক হিসেবে জায়গা করে নেন। পাশাপাশি ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ারের মালিকানায়ও যুক্ত হন। মূলত তার মালিকানাধীন স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেডের মাধ্যমে নাফিজ ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ বাগিয়ে নেন।
আরো যেসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে
নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক দখল নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকার অপরাধে লেখক মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরকে কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে বন্দি অবস্থায় কারাগারেই মারা যান মুশতাক আহমেদ।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সঙ্গে সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে কিশোর ও মুশতাককে নাফিজ সরাফাত অমানুষিক নির্যাতন করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর জানান, তাকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের সময় একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে নিয়ে কার্টুন আঁকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
কী ছিল মুশতাকের কার্টুনে
২০২১ সালে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের আঁকা একটি কার্টুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে। চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে চিত্রায়িত করা ওই কার্টুনে নাভির জায়গায় দেখা যায় ব্যাংকের প্রতীক সিন্দুকের হাতল। তাতে ক্যাপশন ছিল, ‘আমি চৌ নাফিজ সরাফাত/জানি ব্যাংক খাওয়ার ধারাপাত!’
সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচনায় বলা হয়, কিশোরের আঁকা ওই কার্টুনের ওপরের ক্যাপশনটি লিখেছিলেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মুশতাক আহমেদ। ওই বছর মে মাসে সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মুশতাক, কিশোরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বারবার জামিন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সি মুশতাকের।
হাতিয়ে নিয়েছিলেন সরকারি চা-বাগান
নাফিজ সরাফাতের নজিরবিহীন জালিয়াতির ঘটনা ছিল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানিতে (এনটিসি)। নামমাত্র কিছু শেয়ার কিনে রাষ্ট্রায়ত্ত পুরো কোম্পানির দখল নেন নাফিজ ও ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন। এরপর প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যু করে সরকারি শেয়ার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।
এ ছাড়া শেয়ার বিক্রি করা হয় আরেক চা কোম্পানি ‘ফিনলে টি’র পরিচালকের কাছে। ওই পরিচালককে আবার কোম্পানির পর্ষদেও নিয়ে আসা হয়। এরপর সব পক্ষ মিলে প্রতিষ্ঠা করা হয় দানবীয় আধিপত্য। ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) জোরপূবর্ক পদত্যাগে বাধ্য করে বেপরোয়া দুর্নীতি, কাঁচা পাতা অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি এবং একেকজন আলাদা বাগানগুলো দখল করে নেয়। যুক্ত করা হয় শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার নাতি পরিচয় দেওয়া রংপুরের ব্যবসায়ী সালমান তালিবকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি কোম্পানিগুলোর মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল এনটিসি। কিন্তু বর্তমানে কোম্পানিটি দেউলিয়া।
সূত্র: আমার দেশ
No comments:
Post a Comment