Monday, November 18, 2024

দুর্নীতির বরপুত্র ‘ক্যাশ কামাল' (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24

দুর্নীতির বরপুত্র ‘ক্যাশ কামাল’

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পিএম 

একসময় জাতীয় ছাত্রলীগ (বাকশাল) করতেন এস এম কামাল হোসেন। পরবর্তী সময়ে খুলনায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতাকে ম্যানেজ করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ পান কামাল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। শেখ পরিবারের ওই প্রভাবশালী নেতা শেখ হেলালের ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদটিও হাতিয়ে নেন তিনি।

জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতাদের দলীয় পদ না দিয়ে এস এম কামালের বড় পদ বাগিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি সাবেক ছাত্রনেতারা। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সখ্য থাকায় আর বেগ পেতে হয়নি কামালকে। বরং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরও শেখ হেলালের প্রভাব খাটিয়ে অপমান-অপদস্ত করেছেন কামাল। সর্বশেষ ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে খুলনা-৩ আসনে এমপি নির্বাচিত হন এস এম কামাল। এ সময়ের মধ্যে পদ-নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, অর্থ পাচার, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন ও টেন্ডার-বাণিজ্যসহ সব অপকর্মই করেছেন সমানতালে।

রাজশাহী বিভাগের মহানগরসহ ৯টি জেলায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এস এম কামাল। রাজশাহী মহানগরের ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে অন্য জেলা ও উপজেলায় পদ-বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে কামালের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে বগুড়ায় নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্য করেছেন।

পদ-বাণিজ্য প্রকাশ্যে শুরু করায় রাজশাহী বিভাগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে এস এম কামাল পরিচিতি পান ‘ক্যাশ কামাল’ হিসেবে। এই পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও। রাজশাহীর নেতাদের ভাষ্য, উত্তরবঙ্গের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নষ্ট করেছেন এস এম কামাল। দলীয় পদ-বাণিজ্য থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে অর্থ দিতে হতো তাকে। ফলে দলের অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী বঞ্চিত হয়েছেন। তার জন্য দলের মধ্যে অনেক উপদল তৈরি হয়।

গড়েছেন সম্পদ, করেছেন অর্থ পাচার

দৃশ্যমান কোনো ব্যবসা না থাকলেও খুলনা ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট রয়েছে এস এম কামালের। তার স্ত্রী পেশায় শিক্ষক। তার ছেলে ও মেয়ে ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। রাজধানীর হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জে জমি ও রাজউকের একটি প্রকল্পে প্লট রয়েছে কামালের। ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট কিনেছেন কামাল। ওই বাড়ির নিচের কিছু অংশ দখলে নিয়ে নিজে রাজনৈতিক অফিস করেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুটি ও জয়পুরহাটে একটি আমের বাগান রয়েছে তার। নিজের এলাকা খুলনায় স্ত্রী ও পরিবারের নামে অগাধ সম্পদ গড়েছেন এস এম কামাল হোসেন ।

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে তার কাছ থেকে সরকারি কাজ নিতেন কামাল। সর্বশেষ ওই মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ কোটি টাকার কাজ বাগিয়েছেন তিনি। সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে ৪৫ কোটি টাকার কাজ নিজের সিন্ডিকেটকে পাইয়ে দেন কামাল। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার কাজ নিয়ে বিক্রি করে দেন এস এম কামাল। রাজশাহী বিভাগের পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে পাওয়া টাকার বড় অংশ ইংল্যান্ডে ছেলের কাছে পাচার করেন ‘ক্যাশ কামাল’। এভাবে লন্ডনে গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ।

২০২৪ সালের নির্বাচনি হলফনামা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রে এস এম কামালের স্থায়ী বিনিয়োগ ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও তার স্ত্রীর বিনিয়োগ ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া নিজের নামে ব্যাংকে এফডিআর আছে ১৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে এফডিআর আছে ৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার। ক্যাশ কামালের ব্যাংকে জমা ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। স্ত্রীর জমা করার টাকার পরিমাণ ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ও ছেলেমেয়ের নামে জমা রয়েছে ১৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।

নিজের নামে খুলনার খালিশপুরে রয়েছে তিন কাঠা জমি, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। একটি দোকান রয়েছে যার মূল্য ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়া রয়েছে ৮১ দশমিক ৮৪ ডেসিমেল সম্পত্তি, যার মূল্য ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট আছে, যার মূল্য ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তবে এসব সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য অনেক বেশি। এ ছাড়া বহু সম্পত্তি ও অর্থের হিসাব গোপন রেখেছেন কামাল দম্পতি।

পদ-বাণিজ্যের টাকা আসত ৩টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে

রাজশাহী বিভাগের জেলা ও উপজেলা থেকে বিপুল টাকার পদ-বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করেন এস এম কামাল। অবৈধভাবে অর্জিত এসব টাকা আসত তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এর মধ্যে একটি কামালের কথিত পিএস পার্থ প্রীতম সিংয়ের স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট, অন্য দুটি কামালের পরিবারের সদস্যদের।

রাজশাহী মহানগর ও জেলা নেতাদের অভিযোগ, এস এম কামাল রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানরা তাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে মনোনয়ন পেতেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের জেলা, মহানগর, পৌরসভা, থানা কমিটির নেতৃত্ব পেতেও তাকে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হতো। ফলে তিনি নেতা-কর্মীদের মাঝে ‘ক্যাশ কামাল ও বিকাশ কামাল’ নামে পরিচিতি পান। দুটি বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়া রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের একটি বলয় তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন বলেও অভিযোগ আছে। ফলে প্রতিনিয়ত কোন্দল বাড়ায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে রাজশাহী আওয়ামী লীগ। 

সিরাজগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের দুর্দিনের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও নিবেদিত নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করে টাকার বিনিময়ে হাইব্রিডদের দলে অনুপ্রবেশ করিয়েছেন। এই জেলায় ৯টি উপজেলার আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন। উপজেলার প্রতিটি কমিটিতে পদ ও পদবির বাণিজ্য করে গত কয়েক বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করতে সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরির কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা সালামি নিয়েছেন। দুজন নেতাকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বানিয়ে ১৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। 

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সভাপতি পদের বিনিময়ে আবদুল হাকিমের কাছ থেকে ২০ লাখ ও সাধারণ সম্পাদক পদের বিনিময়ে নুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাকি উপজেলা বেলকুচি, শাহজাদপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কাজীপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ ও চৌহালী উপজেলা কমিটি গঠনে কোটি কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য করেছেন। 

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ বিভক্ত করে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করেছেন এস এম কামাল। আর ওই দুর্বলতার একচেটিয়া সুযোগ নেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার অনুসারীরা। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলকে সরাতে সব বন্দোবস্ত করেছিলেন এস এম কামাল। শিমুলের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী পলকের বাঘে-মহিষের সম্পর্ক।

শিমুলের একচ্ছত্র নেতৃত্ব ধ্বংস করতে ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয় ওই সময়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানকে। এর বিনিময়ে ৪০ লাখ টাকা ও একটি গাড়ি উপহার পান এস এম কামাল। এই ব্যবস্থা করে দেন কামালের অনুসারী ইমরান ও বুলেট। এই ইমরানের আগে কোনো পদ না থাকলেও তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করেন কামাল। 

শিমুলকে দলীয় শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিলে নাটোরে একক প্রভাব বাড়ে প্রতিমন্ত্রী পলকের। এই সুযোগ করে দেওয়ায় এস এম কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে পলকের। এই সুযোগে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সরকারি টেন্ডারগুলোতে এস এম কামালের সিন্ডিকেটদের কাজ দিয়েছেন তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী পলক। মাঝখান থেকে মোটা অঙ্কের পার্সেন্টেজ নিয়েছেন কামাল। 

কামালের নারী কেলেঙ্কারি

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন নেত্রীর সঙ্গে কামালের সুসম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক গড়ায় কেলেঙ্কারিতে। ছাত্রলীগের একাধিক নেত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এস এম কামালের নারী কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অভিযোগও দিয়েছেন উপজেলার সভাপতি পদপ্রার্থী এক নেতা। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে ভিডিও ও অডিও প্রমাণও দিয়েছেন ওই নেতা। এই অভিযোগ আসার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কক্ষে এস এম কামালকে নিয়ে হইহল্লা হয়েছে। পরে শেখ হেলালের প্রভাবে পার পেয়ে যান কামাল। 

খুলনায় শেখ পরিবারের প্রভাব খাটাতেন কামাল

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার খুলনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় প্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতিতে উত্থান খুলনা-৩ আসনের সাবেক এমপি এস এম কামাল হোসেনের। রাজনীতিতে তার তেমন কোনো কর্মী-সমর্থক বা অনুসারী না থাকলেও শেখ হেলালের প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পদ-পদবি বাণিজ্য, এমপি-মন্ত্রী পদের মনোনয়নে চাঁদাবাজির মধ্যস্থতা করতেন এস এম কামাল। অবৈধ টাকা আয়ের অন্যতম উৎস হওয়ায় তিনি ছিলেন খুলনায় শেখ পরিবারের মধ্যমণি। 

২০১৮ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনি প্রচারে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় নির্বাচনি ব্যয়ের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদাবাজি করেছেন বলের অভিযোগ রয়েছে এস এম কামালের বিরুদ্ধে।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা সোহেল বিশ্বাস, নিকটাত্মীয় শেখ নাহিদ ও জুয়েলের নেতৃত্বে ঠিকাদারি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন সংস্থায় ঠিকাদারি কাজের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মিরেরডাঙ্গায় নসু খানের ইটভাটা ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এস এম কামাল হোসেনের আস্থাভাজন হিসেবে সমালোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মাহবুব ব্রাদার্স’ বিগত দিনে খুলনা সিটি করপোরেশন, কেডিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেয়। বিভিন্ন উন্নয়নকাজে ধীরগতি ও ভোগান্তি হলেও এস এম কামালের ভয়ে কেউ মাহাবুব ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস করত না। 

শতকোটি টাকার মালিক কথিত পিএস পার্থ

কথিত পিএস পার্থ প্রীতম আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামালের স্পর্শে এসে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রাজশাহী বিভাগে আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে ‘বিকাশ পার্থ’ বলেও ডাকতেন। ওই বিভাগের জেলা-উপজলোর দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতেন। জেলা সফরকালে গাড়ির তেলসহ যাবতীয় খরচের কথা বলে সবাইকে ফোন করে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলতেন পার্থ। রাজধানীর হাজারীবাগে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছেন। পার্থর শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার সোনালী ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা ডিপোজিট করে রেখেছেন। তার স্ত্রীর ১০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে বলেও জানা গেছে। নিজের এলাকায় পরিবারের নামে অনেক জমি কিনেছেন এস এম কামালের আশীর্বাদে।

সূত্র: খবরের কাগজ 

No comments:

Post a Comment

ধর্ষণ থামছে না, ফেব্রুয়ারিতে দিনে গড়ে ১২টি মামলা। (BDC CRIME NEWS24)

BDC CRIME NEWS24 ধর্ষণ থামছে না, ফেব্রুয়ারিতে দিনে গড়ে ১২টি মামলা: (নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা: ২০২৪: জানুয়ারি–জুলাই ১০,৭০৪টি, ২০২৪: আগস্ট...