সার্জেন্ট তুহিনের ১১ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক:
প্রকাশ: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০
সার্জেন্ট তুহিন লস্কর ২১ বছরের কর্মজীবনের ১৬ বছরই মানিকগঞ্জ ও বৃহত্তর ফরিদপুরে কাটিয়েছেন। যানবাহনে চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রায় দেড় যুগে অবৈধ উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। সাবেক আইজিপি বেনজীরের নাম ভাঙিয়ে কাউকে পরোয়া না করেই ফরিদপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করলেও তুহিনকে শাস্তির আওতায় না এনে বদলি করা হয়েছে রংপুরে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ৪ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করলে পরের দিন তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে কর্মজীবন শুরু করে তুহিন কিছুদিন ঢাকায় ছিলেন। পরে বদলি হয়ে আসেন ফরিদপুর। দুই বছরের জন্য রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন।
এ সময়ে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। গতকাল ফরিদপুরের আলোচিত টিআই তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুমের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ইমরান আকন বলেন, তুহিন লস্করের নামে ঢাকার মিরপুর বিজয় রাকিন সিটি প্রজেক্টে অবস্থিত ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট এবং স্ত্রী জামিলার নামে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চাঁদমারী এলাকার খাটরা মৌজায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের আধুনিক ছয় তলা একটি বাড়ি যা আয়কর বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এর আগে ৭ আগস্ট তুহিন লস্কর দম্পতির প্রায় ৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ক্রোক করা হয়।
তখন জামিলার আয়ের কোনো উৎস না থাকলেও ভুয়া ব্যবসা দেখিয়ে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে খুলনার হাউজিং এস্টেটে একটি পাঁচ তলা বাড়ি, ফরিদপুরে দুটি ফ্ল্যাট এবং গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে তার নামে জমি রয়েছে। এ ছাড়াও খুলনা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে তার। ১ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ টাকার এফডিআর রয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের ফরিদপুর শাখায় স্ত্রী জামিলার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ টাকা।
ওই ব্যাংকের আরেকটি অ্যাকাউন্টে জামিলার আরও ৪০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে। এ বিষয়ে তুহিন লস্কর বলেন, আমার নামে ঢাকার যে ফ্ল্যাট ও স্ত্রীর নামে ছয় তলা যে বাড়ি দেখানো হয়েছে। তার কোনোটিই আমাদের নামে নয়। এগুলো বিক্রীত সম্পত্তি। যে ছয় তলা বাড়ির কথা বলা হয়েছে, তা আগেই ক্রোককৃত সম্পত্তি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ সম্পদ দেখানো হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
No comments:
Post a Comment