BDC CRIME NEWS24
বেক্সিমকোতে কর্মরত ৭০ হাজার কর্মচারীর ভবিষ্যত কী হবে:
প্রকাশ: ডিসেম্বর ০১, ২০২৪ সময় ৯.৫৫ পিএম
BEXIMCO এশিয়ার বৃহত্তম সমন্বিত টেক্সটাইল উৎপাদন ব্যবসা পরিচালনা করে। এর প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র হলো বাংলাদেশের গাজীপুরের বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । বেক্সিমকো ফার্মা , গ্রুপের ওষুধ উৎপাদনকারী, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রথম বাংলাদেশী কোম্পানি।
সালমান এফ রহমান ওরফে দরবেশ বাবার দুর্নীতি ও মামলা:
রপ্তানির আড়ালে সালমানের হাজার কোটি টাকা পাচার, ১৭ মামলা - দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
এ খবরে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ)।
এতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তার ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ প্রতিষ্ঠানের ২৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় রপ্তানির আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন বা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত এই ১৭ প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সালমানের দুই ছেলে ও বড় ভাই আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বর্তমানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার আছেন।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ও বেনামে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পৃথক অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।
সংবাদ মাধ্যমে আরও জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকেই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। বেরিয়ে আসছে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট ও পাচারের সব তথ্য। এবার বেক্সিমকো গ্রুপের দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে ৫ ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ কোম্পানি দুটি হলো, বেক্সিমকো লিমিটেড এবং বেক্সটেক্স গার্মেন্টস। এই দুই প্রতিষ্ঠান ২০১১ সালে রাষ্ট্রীয় খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলে। পরে সুদাসলে তা হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়। ফলে এ ব্যাংকগুলো তখনই বিপদে পড়ে যায়।
ডিএসইর তদন্ত অনুযায়ী জানা যায়,
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলোচিত বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারে কারসাজি পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রতিষ্ঠানটির তদন্তে শেয়ারটির কারসাজিতে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তারা হলে আব্দুর রউফ, ক্রিসেন্ট লিমিটেড, মোসফেকুর রহমান, মমতাজুর রহমান অ্যান্ড দেয়ার অ্যাসোসিয়েটস, জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড, মারজানা রহমান ও ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত বেক্সিমকোর শেয়ারের টার্নওভার মূল্য ছিল চার হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্ট কোডের মাধ্যমে যার ৭০ শতাংশের বেশি লেনদেন করেছে এই আট বিনিয়োগকারী।
তদন্তে দেখা গেছে, গ্রুপটি যৌথভাবে রিয়ালাইজড গেইন করেছে ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং আনরিয়ালাইজড গেইন করেছে ৫২৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ২০২২ সালের শেষের দিকে ডিএসইর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে জমা দেওয়া হয়।
এরপর প্রতিবেদনটি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনে আটকে যায়। কারণ কম্পানিটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন এবং কারসাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত কম্পানিগুলোও তাঁরই মালিকানাধীন।
কম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ক্রিসেন্ট লিমিটেড, জুপিটার বিজনেস, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল।
২০২০ সালের ১৯ মার্চ বেক্সিমকোর শেয়ার দর ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা, যা ওই বছরের শেষ দিকে ২২ টাকায় লেনদেন হয়। তার পর থেকে শুরু হয় শেয়ারটির রেকর্ড কারসাজির গল্প। দুই মাসের মাথায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দাম ওঠে ১০০ টাকায়।
চার ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের দলটি সক্রিয় লেনদেনের ভুয়া ধারণা সৃষ্টি করতে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কৃত্রিমভাবে ধারাবাহিক লেনদেনের মাধ্যমে শেয়ারের দাম স্ফীত করেছে, যার বেশির ভাগই হয়েছে নিজেদের মধ্যে লেনদেনের মাধ্যমে।
২০২২ সালে জুপিটার বিজনেস এবং ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কম্পানি লিমিটেডের শেয়ার অধিগ্রহণের পর এটির বোর্ডে যুক্ত হয়। দুটি কম্পানি ফারইস্টের বোর্ডে তাদের প্রতিনিধিত্বের জন্য বেক্সিমকো গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের মনোনীত করে।
ট্রেডনেক্সট ইন্টারন্যাশনাল বেক্সিমকো গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা জামানুল বাহারকে মনোনীত করে। অন্যদিকে জুপিটার বিজনেস বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা আলী নওয়াজ ও বেক্সিমকো টেক্সটাইলের জেনারেল ম্যানেজার মাসুম মিয়ার নাম সুপারিশ করে।
এরপর বিএসইসি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের জন্য ট্রেডেনেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে একটি সতর্কতামূলক চিঠি দেয়। চিঠিতে কম্পানির ঠিকানা উল্লেখ করা হয় প্যারামাউন্ট হাউস, সপ্তম তলা, পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে। যেখানে বর্তমানে কম্পানিটির কোনো অস্তিত্ব নেই।
এদিকে সিকিউরিটিজ বিধি লঙ্ঘন ও কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ থাকা আব্দুর রউফ নিজেকে বেক্সিমকো গ্রুপের একজন কর্মচারী এবং গ্রুপের ইনস্যুরেন্স কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে দাবি করেন।
শেয়ার কারচুপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শুধু কম্পানির লোকেরাই এ বিষয়ে আরো তথ্য দিতে পারবে।’
কম্পানির নামে খোলা বিও হিসাব অনুযায়ী আব্দুর রউফকে ক্রিসেন্ট লিমিটেডের যুগ্ম পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় কিছু নথিতে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, তবে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’
ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেক্সিমকো শেয়ার কারসাজি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর ধারা ১৭-এর বেশ কয়েকটি উপধারা লঙ্ঘন করেছে। ধারা ১৭ লঙ্ঘন অনুযায়ী এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ।
সালমান এফ রহমান গ্রেফতার:
বিগত ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ছাত্রজনতার চতুরমুখী আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে ধরা পড়ার ভয়ে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ভারতে পলায়ন করে।
এরপর আওয়ামী সব নেতা ও আমলারাও আত্মগোপনে চলে যায়। অনেকে ভারতসহ অন্যান্য দেশে পালিয়ে যায়।
তেমনি বিগত ১৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান সদর ঘাট দিয়ে নৌকা যোগে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হোন।
এরপর বিভিন্ন মামলায় দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। আবার অনেকে নতুন মামলাও দায়ের করছে।
সালমান এফ রহমান একজন প্রশিক্ষিত দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারী, ঋণ খেলাপী, বিদেশে অর্থ পাচারকারী ও শেয়ার কেলেঙ্কারি সহ বহু অপরাধের সাথে জড়িত এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি এখন আটক। বিচার চলছে, রায় হবে হয়তো ফাঁসি নয়তো যাবজ্জীবন কিংবা নির্দোষীতে খালাস। ততোদিনে কর্মরত ৭০ হাজার কর্মচারীর কী হবে।
বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার নিয়োগ:
বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিগত ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের জন্য সহকারী রিসিভার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন- ড. সুমন্ত সাহা, সিএফএ অতিরিক্ত পরিচালক; মো. নাহিম উদ্দিন, সিএফএ, যুগ্ম পরিচালক এবং মো. আতিউর রহমান, উপ-পরিচালক।
এর আগে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনা এবং এর সব সম্পদ জব্দের (ক্রোক) জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, গ্রুপটির মালিক সালমান এফ রহমানের বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশ দেন আদালত। এ আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে ব্যাংকটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
উল্লেখ্য , রিসিভার হলেন একজন স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তি, যাকে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি, সাধারণ সম্পদ বা ব্যবসার কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা:
শিল্প পুলিশের তথ্য মতে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী আছেন। তারা বিগত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে অক্টোবর/২০২৪ মাসের বেতন পরিশোধ করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে সরকার শ্রমিকদের অক্টোবর/২০২৪ মাসের বেতন পরিশোধে বেক্সিমকো গ্রুপকে ৬০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর শ্রমিকদের বেতন দেয়া হলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
এখন কথা হলো সরকার এভাবে কতদিন বহন করবে?
সালমান এফ রহমান বিভিন্ন খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তার কোম্পানিতে যেমন বিনিয়োগ করেছেন তেমনি বিদেশেও পাচার করেছেন। এজন্য তার সব অপরাধের বিচার হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে রায় অনুযায়ী তিনি সালমান এফ রহমান তার শাস্তি ভোগ করবেন। কিন্তু এই কোম্পানিতে ৭০ হাজার বনাম তাদের পরিবারসহ প্রায় ৩লক্ষ লোক যে কোম্পানির উপর নির্ভরশীল তারা যেনো পথে না বসে সেজন্য কোম্পানিটিকে সচল রাখতে হবে। কোম্পানিটিকে জীবিত রেখে তার লাভের অংশ থেকে খেলাপী ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্যে প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে সৎ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিতে হবে। বেসরকারি খাত নষ্ট হলে লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হবে। তখন দেশের মধ্যে অরাজকতা বেড়ে যাবে। অশান্তি সৃষ্টি হবে। আমরা প্রমান পাচ্ছি যে, আওয়ামী সকল নেতা কর্মী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়িকগণ ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমেই তাদের সম্পদ বাড়িয়েছেন তথা অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। এজন্যে তদন্ত চলছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করা যাবে না। বেকারত্ব বাড়ানো যাবে না। প্রয়োজনে সরকারি তত্ত্বাবধানে সেগুলো পরিচালনা করতে হবে।
মোঃ ইজাবুল আলম
আহ্বাক
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কমিটি (বিডিসি)
No comments:
Post a Comment